
ঢাকার ধামরাইয়ে ধর্ষনের ঘটনায় বাদীর মামলা নেয়নি পুলিশ ।
জানাগেছে , ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নবগ্ৰাম বাজারে ডাঃ রজ্জবের বাড়িতে ধর্ষনের শিকার হয় দুনিগ্ৰামের নায়েব আলীর মেয়ে সুলতানা ।
সেই ধর্ষনকে কেন্দ্র করে এলাকার গ্ৰাম্য মাতাব্বর নবগ্ৰাম বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন , আওয়ামিলীগ নেতা আব্দুল খালেক , বাগজান গ্ৰামের রং সানোয়ার , নবগ্ৰামের গরুর বেপারী সুলাইমান ও কুশুরা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শাহীন মিলে গ্ৰাম্য শালিসে ধর্ষককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে । পরে ধর্ষিতাকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বাকী ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাতাব্বরা লুটেপুটে খায় ।
ধষিতা বাধ্য হয়ে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করে । দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ঐ নির্যাতিতা নারীর মামলা না নিয়ে উল্টো গ্ৰাম্য মাতাব্বরদের কাছে থেকে অর্থের সুবিধা নিয়ে গোপনে বাদী ও বিবাদীকে একত্রে মিটমাট করান বলে একাধিক গোপন সূত্রে জানাযায় ।এ দিকে অভিযুক্ত মাতাব্বরা এখন বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে ।
পুলিশ অভিযোগ নিয়ে সময় ক্ষেপন করার কারনে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে চলছে রাম রাজত্ব কায়েম ও পুলিশের ক্ষমতার অরাজগতা সৃষ্টি । সম্প্রতি কুশুরা ইউনিয়নের নবগ্ৰাম এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বারের বাড়িতে বিনা মামলায় ওয়ারেন্ট ছাড়াই তার ছেলে সুমন হোসেনকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকীর নির্দেশে এস আই আনোয়ার হোসেন রাতে গ্ৰেফতার করে টাকা দাবি করে । পরে জনগনের তোপের মুখে পুলিশ সুমনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ।
এ ব্যাপারে ধামরাই কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম সিদ্দিকী এ প্রতিবেদককে বলেন , অভিযোগের ঘটনায় বাদী বিবাদী মিটমাট করলে আমার কি করার আছে বলে প্রশ্নগুলো তিনি এড়িয়ে যান ।